ইন্টারনেট বিপণন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইন্টারনেট বিপণন ওয়েব বিপণন, অনলাইন বিপণন , বা ই-বিপণন নামেও পরিচিত৷ ইন্টারনেটের মারফত পণ্য বা পরিষেবা প্রদানের ধরনই হল ইন্টারনেট বিপণন৷ বিপণনের জগতে ইন্টারনেট বেশ কিছু অনন্য সুবিধা হাজির করেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম হল কম খরচে এবং খুব কম সময়ে এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়৷ ইন্টারনেট বিপণনে সৃষ্টিশীলতা এবং প্রযুক্তির এক সুসংগত মেলবণ্ধন ঘটে থাকে৷ ইন্টারনেট বিপণন শুধু কোন ওয়েবসাইটের রচনা, বা কোন অন্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, তা কোম্পানির নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ফলপ্রসূ করে তোলার দিকেও নজর দেয়৷ বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডেলের সঙ্গে ইন্টারনেট বিপণনের সঙ্গে ই-বাণিজ্য, প্রকাশনা ইত্যাদির নাম জড়িয়ে আছে৷

ইন্টারনেট বিপণনের প্রকারভেদ[উৎস সম্পাদনা]

ইন্টারনেট বিপণনকে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ভাগে ভাগ করা যায়-

  • ওয়েব বিপণন।
  • ই-মেইল মার্কেটিং বা ইমেইল বিপণন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

শিল্পমহলে প্রভাব[উৎস সম্পাদনা]

সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, ব্যাঙ্ক সমেত একগুচ্ছ শিল্পে এর গভীর প্রভাব রয়েছে৷ বাজারের মালিকানার দিক থেকে রেডিও বিপণনের চেয়ে ইন্টারনেট বিপণনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বিশেষতসঙ্গীত শিল্পে ইন্টারনেটের মারফত ব্যবসার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাছে৷ গ্রাহকেরা সরাসরি ইন্টারনেট থেকে গান পয়সা দিয়ে ডাউনলোড করছেন৷ বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অনলাইন পরিষেবা প্রদান করার বহর অনেক বেশি চোখে পড়ছে৷ গ্রাহকদের কাছেও অনলাইন পরিষেবা অনেক বেশি অভিপ্রেত কারণ এর ফলে তাদের ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না৷ দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশেন অনলাইন পরিষেবার মান উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে৷

ইন্টারনেট মারফত নিলাম, ই-ভাণ্ডারের মতো সুবিধাগুলির ইন্টারনেট বিপণনের অঙ্গ৷ অনলাইন বিজ্ঞাপনের জগৎও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এমনকি বর্তমানে ভোটের প্রচারেও ইন্টারনেট বিপণনের সাহায্য নেওয়া কোন নতুন বিষয় নয়। প্রথম বিশ্বের দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও ব্রডব্যাণ্ড গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

নিরাপত্তাগত দিক[উৎস সম্পাদনা]

অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে কোম্পানি এবং গ্রাহক উভয়ের তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ অনলাইনে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ব্যক্তিগত থাকবে কিনা সে বিষয়ে অনেকেই সংকোচ প্রকাশ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা এড়িয়ে চলেন।

অতিসাম্প্রতিককালে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে পাচার করার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। ই-বাণিজ্যের অপর এক অসুবিধার দিক হল কেনাকাটা করা সামগ্রীর গুণগত মানের ব্যাপারে সংকোচ প্রকাশ।

সীমাবদ্ধতা[উৎস সম্পাদনা]

ইন্টারনেট বিপণনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চিরাচরিত পদ্ধতি ভুলে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে৷ মন্থর গতির ইন্টারনেট সংযোগও এর একটি কালো দিক৷ অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতারা তাদের কিছু কেনার আগে হাতে নিয়ে দেখার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন৷

সুবিধা[উৎস সম্পাদনা]

অনলাইনে দেওয়া বিজ্ঞাপনের সাহায্যে কোন সামগ্রী গ্রাহকদের মধ্যে কি পরিমাণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে অবগত হওয়া যায়৷